রমজান মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৪ | সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি
রমজান মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৪-দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্যে বরকতময় মাস মাহে রমজানের সেহরী ও ইফতারের সময়সূচী-২০২৪ এখানে প্রকাশিত হয়েছে।
এ বছরের ১১ই মার্চ সাবান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হয়ে ১২ই মার্চ সন্ধ্যায় রমজান মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছে, এক্ষেত্রে ১১ই মার্চ দিবাগত রাতে বাংলাদেশের মুসলমানগণ সেহরী খেয়ে রোজা পালন শুরু করেন।
রমজান মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৪
বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন আরব দেশের ইসলামিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে বাংলাদেশের জন-সাধারণের জন্য বাংলাদেশ রোজার সময়সূচি প্রকাশ করে। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরে ও তারা রমজান মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৪ প্রকাশ করেছে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত রোজার ক্যালেন্ডার ২০২৪ পর্যালোচনা করে দেশের বিভিন্ন জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী প্রস্তুত করা হয়েছে। সেই সাথে আজকের সেহরির শেষ সময় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নিচের ছক থেকে এ বারের রমজান মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৪ জেনে নিন।
আজ কত রোজা? আজকের রোজার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৪
রোজার ক্যালেন্ডার ২০২৪
ইসলামিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী শাবান মাস ৩০ দিনে পূর্ণ হলে এ বছর রমজান ১২ই মার্চ থেকে শুরু হবে। তাহলে ১১ই মার্চ সোমবার দিবাগত রাতে সেহরি খেতে হবে। তবে শাবান মাস ২৯ দিনে পূর্ণ হলে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১০ মার্চ রাতে সেহরি খেয়ে ১১ মার্চ সোমবার থেকে রোজা শুরু করতে হবে।
বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন ১২ই মার্চ (মঙ্গলবার), ১ম রোযা হিসেব করে এবারের রোজার ক্যালেন্ডার ২০২৪ প্রস্তুত করেছে। প্রতিবারের মত, এবারেও ইসলামিক ফাউন্ডেশন ঢাকা জেলা ভিত্তিক সেহরি ও ইফতারের সময়সূচির তালিকা প্রকাশ করেছে।
এখানে আমরা ঢাকা জেলার সাথে অন্যান্য জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচির মধ্যে ব্যবধান এবং ঢাকা জেলার আজকের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী ২০২৪ তুলে ধরেছি।
সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি
রোজার সময়সূচী মেনে রোযা রাখা প্রত্যেক রোজাদারদের উপর ফরজ করা হয়েছে। রোজার সময়সূচী মেনে সেহরি ও ইফতার না করলে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
সেজন্য রমজান মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৪ জানা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে ঢাকা জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি-২০২৪ প্রকাশ করা হয়েছে এবং সেই সাথে দেশের বিভিন্ন জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি পর্যালোচনা করা হয়েছে।
জেনে নিনঃ আজকের সেহরী ও ইফতারের সময়সূচী ২০২৪
রোজা বা সিয়াম কি?
ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে সিয়াম বা রোজা হল তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। সুবহে সাদেক বা ভোরের সূক্ষ আলো থেকে শুরু করে দিনের শেষে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার, পাপাচার, কামাচার এবং সেই সাথে সকল প্রকার ভোগ-বিলাস থেকেও বিরত থাকার নাম রোযা।
রোজা রাখা বা সিয়াম সাধনা করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য একটি ফরজ কাজ। সিয়াম সাধনায় সঠিক সময়ে সেহরি ও ইফতার করা সুন্নত। সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী সঠিকভাবে মেনে রোযা রাখা অতীব জরুরী।
রোজাতে করনীয় কাজ । ২০২৪ সালের রোজার ক্যালেন্ডার
- রোযা রাখা
- তারাবীহ নামাজ পড়া
- কোরআন তেলাওয়াত করা
- সাহরী খাওয়া
- ইফতার করা
- রোযাদারকে ইফতার করানো
- তাওবা-ইস্তিগফার করা
- দুআ করা
- ইফতারের আগ মুহূর্তে দুআ করা
রমজানের বর্জনীয় কাজ | রমজান মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৪
সারাদিন না খেয়ে থাকার নাম রোযা বা সিয়াম সাধনা নয়। সিয়াম সাধনা হল একটি আত্বিক ইবাদত। সুবহে সাদেক থেকে শুরু করে দিনের শেষে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার, পাপাচার, কামাচার এবং সেই সাথে সকল প্রকার ভোগ-বিলাস থেকেও বিরত থাকার নাম রোযা।
তাই রোযা অবস্থায় আমাদের সকল প্রকার হারাম, অস্লিলতা ও বেহায়াপনা থেকে বেচে থাকতে হবে। এ সকল কাজ বর্জন করতে না পারলে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ বিষয়ে আল্লাহ’র রাসুল (সঃ) হাদিস শরীফে ইরশাদ করেছেন,
যে ব্যক্তি রোজা অবস্থায় মিথ্যাচার ও মন্দ কাজ ত্যাগ করেনি তার পানাহার ত্যাগে আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই।
-সহিহ বুখারি: ১/২৫৫, হাদিস- ১৯০৩
ইমাম গাজ্জালী (রহ.) হতে বর্ণিত হয়েছে
যে ব্যক্তি সারাদিন রোজা রেখে হারাম মাল দ্বারা ইফতার করে সে যেন একটি অট্টালিকা নির্মাণ করে আর একটি শহর ধ্বংস করে।
আল-হাদিস
এর থেকে বুঝা যায় রোযা অবস্থায় হারাম ও অশ্লীলতা বর্জন করা কতটা জরুরী। নিচে রমজানের বর্জনীয় কাজ গুলো তুলে ধরা হয়েছে।
- দৃষ্টিকে সকল প্রকার গোনাহ যেমন- বেগানা মেয়েদের দেখা, টিভি সিনেমা বা নাটক দেখা থেকে হেফাজত করা
- জবানের হেফাজত করা। অর্থাৎ মিথ্যা, পরনিন্দা, গিবত, অশ্লীল কথাবার্তা ও ঝগড়া থেকে রিবত থাকা।
- কানের হেফাজত। যেমন- গান শোনা, পরনিন্দা, গিবত, ও অশ্লীল কথাবার্তা শোনা থেকে বিরত থাকা।
- হাত-পা সহ অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কেও গোনাহ ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখা।
- সেহরি ও ইফতারে হারাম খাবার পরিহার করা।
- অন্তরকেও সব রকমের গোনাহ থেকে বিরত রাখা। যেমন- গোনাহের কাজ পরিকল্পনা করা, পেছনের গোনাহ স্মরণ করে স্বাদ অনুভব করা, হিংসা, অহঙ্কার, কু-ধারণা ইত্যাদি থেকে অন্তরকে হেফাজত করা।